সোনাগাজীর মাওলানা ক্লথ স্টোরের প্রতারণায় গ্রাহক অসন্তোষ : বয়কটের ডাক ক্রেতা সাধারণের

সোনাগাজীর মাওলানা ক্লথ স্টোরের প্রতারণায় গ্রাহক অসন্তোষ : বয়কটের ডাক ক্রেতা সাধারণের

প্রতিবেদক : সোনাগাজীর জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন মাওলানা ক্লথ স্টোরে কেনাকাটায় প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। অতিরিক্ত দাম আদায়, দুর্ব্যবহার ও নিম্নমানের সামগ্রী বিক্রয়ের অভিযোগও করেন অনেক ক্রেতা।

সোনাগাজীর সংবাদকর্মী মোহাম্মদ ইকবাল হোসাঈন জানান, গত বছর একটি পাঞ্জাবি কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন তিনি। বাড়তি দাম, নিম্ন মান ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন তিনি। একই অভিযোগ করেন, আরো একাধিক ক্রেতা।

সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেজবুকে এক ভুক্তভোগী একটি স্ট্যাটাস লিখেন, যা হুবহু তুলে ধরা হলো....

সুন্নতি পোষাক পরে মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা কি নবীজির পোষাককে অবমাননা নয়??

গত ২২-০৩-২০২৫ আমি আমার হাজবেন্ডের জন্য ঈদ গিফট হিসেবে একটি ভালো মানের পাঞ্জাবি কিনতে গিয়েছিলাম, সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে মাওলানা ক্লথ স্টোরে। সাথে আমার আম্মুও ছিল। আমার শ্বাশুড়ি এখান থেকে পাঞ্জাবি কিনেছিলেন বিধায় আমিও এসেছিলাম কিনতে। আমি দোকানদারকে বক্সের ভালো মানের পাঞ্জাবি দেখাতে বলি। তিনি কয়েকটি পাঞ্জাবি দেখান, সেখান থেকে দুটো পছন্দ করি এবং একটি পাঞ্জাবির দাম জানতে চাই। 

উনি বললেন যে বক্সের পাঞ্জাবি কি আগে কিনেছেন?? আমি বললাম হ্যাঁ কিনেছি, তো উনি বললেন যে "এইরকম বক্সের কিনেছেন??", আমি বললাম এরকম কিনা মনে নাই বক্সেরই কিনেছি, তো উনি বললেন তাহলে তো আপনার আইডিয়া থাকার কথা।  

তো দোকানদার জানান, সেটার গায়ে দাম ২২০০ টাকা, তবে আমাকে ২০০০ টাকা দিতে বলেন। স্বাভাবিক নিয়মে দামাদামি করার জন্য আমি বললাম, "১১০০ টাকায় দেবেন?" ভাবলাম আমিও দামাদামি করে এমাউন্ট বাড়াবো, কারণ আমার বাজেট ছিল ১৭০০-১৮০০ টাকা, আর উনারাও হয়তো একটু কমাবেন।

এই কথা বলার সাথে সাথেই দোকানদার এবং তার সহযোগী অত্যন্ত বাজে এবং অপমানজনক ব্যবহার শুরু করে। পাঞ্জাবি গুছিয়ে তারা অত্যন্ত রূঢ়ভাবে বলে,

"ফালতু কথা বলার আর জায়গা পান না? বক্সের পাঞ্জাবি ১১০০ টাকায় কিনেছেন?"

আমি শান্তভাবে বললাম, "আমরা ফেনী বড় মসজিদ মার্কেট থেকে ১৩০০ টাকায় কিনেছি। আপনি কত পারবেন, সেটা বলুন। না পারলে বলেন পারছেন না।"

আমি একটুও মেজাজ দেখাইনি বরং ঠান্ডা মাথায়ই বলেছি, আমার আমি রোজা অবস্থায় ছিলাম এবং বোরকা নিকাব পরে যথেষ্ট শালীন পোষাকেই গিয়েছি।

কিন্তু তারা আরও আগ্রাসী হয়ে রেগে গজরাতে গজরাতে আমাকে অপমান করতে থাকে। একপর্যায়ে একজন দোকানদার আমার দিকে তাকিয়ে বলে,

"মিথ্যুক! মিথ্যা কথা বলার আর জায়গা পায় না। জীবনে দেখছেনে বক্সের পাঞ্জাবি। "
 
ঠিক এভাবেই বললেন। 

এই অশ্রাব্য ব্যবহার এবং অসম্মানজনক আচরণে আমি চরম অপমানিত হয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। তখনও তারা থেমে থাকেনি! আমি বের হওয়ার সময় আমার পেছনে দাঁড়িয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলতে থাকে,

"বক্সের পাঞ্জাবি নাম শুনে নাচতে নাচতে বাজারে আইসছে, ফালতু কোথাকার!"

এই ঘটনাটি আমাকে এতটাই আঘাত করেছে যে, চোখে পানি চলে আসে। অথচ, মাত্র দামাদামি করাই ছিল আমার অপরাধ!

মানুষের আসল পরিচয় তার আচরণে, একজন ক্রেতার সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলা, দামাদামির সুযোগ দেওয়া এবং শালীন আচরণ করা ব্যবসার শিষ্টাচারের অংশ। আর উনাদেরও নিশ্চয়ই মা-বোন আছে। 

এ ধরনের দোকান এবং অসদাচরণকারী বিক্রেতাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত।

বিশেষ মন্তব্য-
উম্মে হাবিবা

মাওালানা স্টোর এর সত্ত্বাধিকারী জানান, 
আমরা উনাকে দামি পাঞ্জাবি দেখাতে চাইলে তিনি দেখাতে বলেন এবং তিনি আগে নিয়েছেন তার অভিজ্ঞা আছে পরবর্তীতে আমরা তাকে দামি একটি পাঞ্জাবি দেখালে সে এগারো শত টাকা দাম বললে আমি বলি আপনি এগারো শত টাকা দিয়ে এ পাঞ্জাবি নেন নাই। আপনি মিথ্যা বলছেন। "মিথ্যা বলছেন" এ কথা বলায় তিনি রেগে গেলেন। আমরা অন্য কথা বলিনি। অন্য অভিযোগগুলো মিথ্যা।

Comments