বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।

বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।

‎মায়ানমারে আজ যে ভূমিকম্প হয় তার মাত্রা ছিলো ৭.৭ মাত্রার । একইসাথে ৮.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে থাইল্যান্ডেও।‎বহুতল ভবন ধসে পড়ে গেছে, রাস্তা উপড়ে গেছে, সেতু ভেঙে গেছে, অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো
‎আজ বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার মাত্রা ৪.৫, উৎপত্তিস্থল মায়ানমার । ঢাকা থেকে মাত্র ৫৯৭ কি.মি দূরে । 
‎বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো একটি ভৌগলিক পরিমন্ডলে বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে ছোটো ছোটো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। 
‎২০১৭ সালে বাংলাদেশে ও এর কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয় । ২০২৩ সালে এর সংখ্যা ছিল ৪১। 
‎২০২৪ সালে তা বেড়ে পৌঁছে যায় ৫৪তে। ‎প্রতি বছর ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়ছে। 
‎বাংলাদেশের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিলো ১৯১৮ সালে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮। এতে মারা যায় প্রায় দেড়লাখ মানুষ । 
‎ভূতাত্ত্বিকদের মতে, একটা বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ১০০ বছর পর আবার ঐ দেশটিতে বড়মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ‎১৯১৮ এর পর ১০০ বছর পার হয়ে গেছে। 
‎এখন ২০২৫ !
‎ইন্ডিয়ান, ইউরোশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান বলে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
‎সকাল, দুপর, মাঝরাত যে কোনো সময় আপনারে আশ্রয় দেওয়া ভবন আপনার শরীরের উপর ধসে পড়তে পারে। ‎ঢাকায় যদি ৭ মাত্রারও একটি ভূমিকম্প হয়, তবে ৭২,০০০ ভবন ধসে পড়বে। ঢাকায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বসবাস। যদি এরকম ভূমিকম্প হয়, ঢাকা শহর পুরোটাই মৃত্যু নগরীতে পরিণত হবে। 
বাড়িঘর ধূলোয় মিশে যাবে। ‎ফ্লাইওভার-ব্রিজ ভেঙে পড়বে। বিদ্যুৎ গ্যাস লাইনে আগুন ধরে যাবে। পানির লাইন ফেটে পড়বে। ‎সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রামও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।  
‎অতীতে সাভারে শুধুমাত্র একটা ভবন ধসে পড়ায় তার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সরকারের লেগেছিলো ৭ দিন। Published from Blogger Prime Android App

Comments