দাওয়াত, আদর্শ ও দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী ফেনীতে শিক্ষাশিবির

দাওয়াত, আদর্শ ও দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী ফেনীতে শিক্ষাশিবির

প্রধান অতিথি- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দাগনভুইয়া সোনাগাজী উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক

আলমাস শাহরিয়ার,ফেনী শহর প্রতিনিধি,২০ এপ্রিল ২০২৫:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফেনী শহর ও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী " সদস্য শিক্ষাশিবির ২০২৫" সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ফেনীর দারুল ইসলাম মিলনায়তনে এই শিক্ষাশিবিরে শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান আলোচক- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সাদ্দাম হোসাইন

“দাওয়াত এবং প্রশিক্ষণে মজবুত হবে সংগঠন, জ্ঞানের আলোয় গড়বো সমাজ, সফল হবে আন্দোলন”—এই অঙ্গীকারকে ধারণ করে আয়োজনটি সাজানো হয় নানা শিক্ষনীয় সেশন, আলোচনা ও প্রশিক্ষণভিত্তিক কার্যক্রম দিয়ে।

বিশেষ অতিথি- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম

শিবিরের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তিনি বলেন, “আদর্শিক আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখতে হলে চিন্তাশীল, দক্ষ ও আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। এ শিক্ষাশিবির সেই নেতৃত্ব তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও ফেনী জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুইয়া এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে আদর্শিক দাওয়াত, সংগঠনশৃঙ্খলা ও সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুইয়া এবং জেলা ও শহর দায়িত্বশীলবৃন্দ

শিবিরে “আদর্শিক ব্যক্তিত্ব গঠনে অধ্যয়নের ভূমিকা”, “ছাত্রসমাজের সংকট ও করণীয়”, “প্রযুক্তিনির্ভর দাওয়াত”, “নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা”, “ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস” ইত্যাদি বিষয়ে মোটিভেশনাল ও ইনফরমেটিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ দেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অভিজ্ঞ দায়িত্বশীলবৃন্দ।

শিক্ষাশিবিরের বিভিন্ন অংশে প্রশ্নোত্তর পর্ব, মেধা যাচাই, ব্যক্তিগত পর্যালোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং দোয়া ও আত্মশুদ্ধির সেশন অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করেন।


শিক্ষাশিবিরে অংশগ্রহণকারী এক সদস্য বলেন, “এই শিবির আমাদের চিন্তা, চরিত্র ও কাজের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আমরা নিজ নিজ এলাকায় এই শিক্ষা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবো।”

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই আয়োজনটি ফেনী অঞ্চলের ছাত্রসমাজের মাঝে একটি ইতিবাচক ও আদর্শিক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।

Comments